এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [৩] শুক্রবার  নতুন করে কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ কিছু এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

[৪]নগরের প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানিতে তলিয়ে গেছে।বাসায় পানি ঢুকে যাওয়ায় আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হচ্ছে। জ্বলছে না চুলা। 

[৫]বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভিজে গেছে বেশকিছু পণ্য।পানি ঢুকেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাড়িতেও। সামনের সড়কে হাঁটু থেকে কোমড় সমান পানি জমেছে।

[৬]বহদ্দারহাট মূল সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইওভারের নিচে পানি থাকায় ফ্লাইওভারগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসিদের।

[৭]এছাড়া আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তিবাগ আবাসিক, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ নগরীর নিচু এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানি উঠেছে জোয়ারের সময়। 

[৮]জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে মেহেদীবাগ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায়।নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।চট্টগ্রামে চারদিন ধরে কখনও থেমে থেমে আবার কখনও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। 

[৯]মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির চতুর্থ দিনে শুক্রবার সকাল থেকে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমড় সমান পানি জমে গেছে।

[১০]চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি নাথ  জানান, শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে। 

[১১] সকাল ৯টা ১ মিনিট থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি আরো দুই-এক দিন হতে পারে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান